আড়াইহাজার উপজেলা একটি অনুন্নত অঞ্চল হওয়ায় এখানের শিক্ষার তেমন প্রসার ঘটেনি। অবহেলিত জনপদের মানুষকে শিক্ষিত করা না গেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কেননা, যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি তত বেশী উন্নত। শিক্ষিত জাতি একটি দেশের বড় সম্পদ।
কিন্তু দীর্ঘদিন এদেশের জনসংখ্যার একটি বৃহত্তম অংশ নারী সমাজ তার সুপ্ত ক্ষমতার পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করার এবং জাতীয় উন্নয়নে অধিক কার্যকর অবদান রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। তবে সময়ের বিবর্তনে সমাজ জীবনে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। বর্তমান নারী সমাজ ধর্মীয় গোঁড়ামীর শৃংখল ভেঙ্গে পুরুষের পাশাপাশি সমাজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করছে। ফলে নারীদের জন্য সুশিক্ষা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে এবং নারী উচ্চ শিক্ষার পথকে সুগম করার জন্য কিছু সংখ্যক শিক্ষা সচেতন ব্যক্তির উৎসাহ ও নিরলস প্রচেষ্টায় স্থানীয় এলাকাবাসীর আশা আকাংখার প্রেক্ষিতে ১৯৭৯ সালে আলহাজ্ব মোঃ রোকনউদ্দিন মোল্লা তার পৈত্রিক বাড়ি থেকে ১৫ কিমি দূরে আড়াইহাজার উপজেলা সদরে রোকনউদ্দিন মোল্লা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পর্যায়ক্রমে নারী শিক্ষাকে আরও অগ্রসর করার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে এ বিদ্যালয়টি কলেজে উন্নীত করা হয় যা পরবর্তীতে আলাদা প্রশাসনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি এককভাবে কলেজের জন্য ১২ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি দ্বিতল ভবন নির্মান এবং ২ একরের অধিক ভূমি, স্থায়ী ও চলতি তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ, বই, চেয়ার, ব্যাঞ্চ, টেবিল, ফ্যান ও কম্পিউটার প্রদান করে কলেজের অগ্রগতিকে তরান্বিত করেন।
